অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের ইসলাম বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যা মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে রায় হতে পারে।
জেনারেল সোলাইমানি হত্যা মামলার বিষয়ে আইনগত এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট অনুসারে গঠিত একটি বিশেষ কমিটির প্রধান আব্বাস আলী কাদখোদায়ী গতকাল (শনিবার) উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী একটি বৈঠকে দেয়া বক্তৃতায় একথা জানান।
তিনি জানান, ইরানের বিচার বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মামলার বিষয়ে খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তিনি আশা করেন যে, একটি ভালো রায় আসবে।
১৯৭৩ সালের একটি কনভেনশনের ওপর ভিত্তি করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মামলার বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে আন্তর্জাতিকভাবে সুরক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধ করলে তার শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।
কাদখোদায়ি আরো বলেন, জেনারেল সুলাইমানিকে হত্যা করে আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং অনেক বড় অপরাধ করেছে। আমেরিকার যেসব কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারা এই হত্যাকাণ্ডের দায়ী স্বীকার করেছেন এবং তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কাদখোদায়ি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, উগ্রবাদী দায়েশ হচ্ছে আমেরিকার সৃষ্টি এবং এই উগ্রবাদী গোষ্ঠী যত অপরাধ করেছে তার সবই আমেরিকার গ্রিন সিগন্যাল অনুসারেই করেছে। আমেরিকা তার স্বার্থ রক্ষার জন্য যেকোনো উপায় অবলম্বন করতে পারে।
কাদখোদায়ি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ইরাকের বিচার বিভাগ এবং সরকারি কর্মকর্তারা জেনারেল সুলাইমানি এবং পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহান্দিস হত্যাকাণ্ডের মামলা এগিয়ে নিচ্ছেন এবং তারা আশা করছেন একটা ইতিবাচক রায় আসবে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি জেনারেল সুলাইমানিকে হত্যার জন্য আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার দাবি করেন। সে সময় তিনি বলছিলেন, ইরান এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভুলে যাবে না।
Leave a Reply